Thursday 19 May 2011

বঙ্গ জননী


         “বঙ্গ জননী”
কতনা স্মৃতি
        মনের খাতায় আছে লেখা
কতনা স্মৃতি
        চোখের পাতায় আছে ভিড়ে
কতনা স্মৃতি
        মুছে গেছে মনের খাতা হতে
কতনা স্মৃতি
        মনে নেই;হৃদয়ের মাঝে আছে মরীচিকা হয়ে
তবু;তোমার স্মৃতি মনে আছে মনে থাকবে
        হে আমার বঙ্গ জননী সোনার বাংলা
ধন্য আমি তোমার বুকে জন্মগ্রহণ করে
ধন্য আমি তোমার কোলে লালিত হয়েছি বলে
ধন্য আমি তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি বলে
তাইতো বিভুঁই দেশে বসে শুধুই তোমায় মনে করি
কি আশায় জানিনাকো মা ছেড়েছি তোমার মাতৃপাশ ?
কিসের ছলনায় জানিনাকো মা আজো আছি দূরে
কোন অদৃশ্য নাগপাশ রেখেছে বেধে আমায়
তাইতো রয়েছি আমি নিরূপায় হয়ে
তবুও তোমার রঙিন ছায়া ভিড় করে আছে দুনয়নে
তাইতো শুনতে পাই তোমার হাতছানি; হে বঙ্গ জননী ।।                 ০৪/০২/২০০৬

হতে চাই


           “হতে চাই”
আমি সত্যকে পূজা করে হতে চাই
               সত্যের পূজারী
আমি প্রকৃতিকে ভালবেসে হতে চাই
               প্রকৃতির প্রেমিক  
আমি সুন্দরকে দেখে হতে চাই
               সুন্দরের দর্শক
আমি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে হতে চাই
               চিত্র শিল্পী
আমি নদীর কলকাকলি ধ্বনি শুনে হতে চাই
               কন্ঠ শিল্পী
আমি আকাশের শুভ্র ভাসমান মেঘ দখে হতে চাই
               পথ ভ্রষ্ঠ পথিক
আমি অন্যায়,অত্যাচার দেখে হতে চাই
               প্রতিবাদী লেখক
আমি গরিবের পাশে থেকে হতে চাই
               গরিবের বন্ধু

আমি সত্যের পূজারী হয়ে
               সত্যের পূজায় থাকব রত
               সত্য হতে কখনো হবনা বিরত
আমি প্রকৃতির প্রেমিক হয়ে
              প্রকৃতিকেই ভালবেসে যাব
আমি সুন্দরের দর্শক হয়ে
              সুন্দর জিনিস দুচোখ ভরে দেখব
আমি চিত্র শিল্পী হয়ে
              প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলব
আমি কণ্ঠ শিল্পী হয়ে
              নদীর এই কুহুকেতান সুর তুলব
আমি পথ ভ্রষ্ঠ পথিক হয়ে
              সারাটা বিশ্ব ঘুরে দেখব
আমি প্রতিবাদী লেখক হয়ে
              অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরব
আমি গরিবের বন্ধু হয়ে
              গরিবের সেবা করব
              আমি গরিবদের ভালবাসব ।।



                                    ০৪/০২/২০০৬

নীড় পানে


    নীড় পানে”
বহু দিন পরে ফিরতেছি পথে
আপনার বাসভূমি পানে
মনে হয় স্বপ্নের তরী নিয়ে
ছুটে চলেছি আপনার স্রোতে

দূর হতে যেন শুনতে পাচ্ছি
ছেলেবেলার সেই ছোট্টো ছড়া খানি
আমি সেই তোর ঘুমভাঙ্গানি
স্বপনের সেই ছোট্টো গ্রাম খানি

মনে পড়ে যায় কোকিলের সুমধুর গান
আজও যেন ছুয়ে যায় আমার এই প্রাণ
কে যেন বলল ডেকে প্রতীক্ষার হল অবসান
আমি সেই অনির্বাণ

ডাহুক বলে তোমায় চিনেছি চিনেছি
তুমিতো নওকো কোন বিদেশী
তুমি আমারই স্বদেশী
এতদিন তোমার আশায় বসে আছি

মাঠ বলল আবার তোমার পড়ল পদার্পণ
তোমার স্মৃতি বুকে লয়ে রয়েছি সারাক্ষণ
বট বলে তুমি আবার এলে কতক্ষণ
আমাদের কথা তাহলে মনে পড়ল এতক্ষণ

ঊষা বলে আমায় ওরে আয় আয়
তোকে বরণ করতে সেজেছি তাই
চেয়ে দ্যাখ সবার খুশিতে মন ভরে যায়
দ্যাখতো কে যেন তোর দিকে চায় ?

চেয়ে দেখি আমারই সেই স্বর্গের শান্তির নীড়
যার তলে পেয়েছি জননীর ক্রোড়
দুচোখে বন্যা বয়ে যায় মোর
এরই জন্য কাঁদে পরাণ মোর ।।



টীকা:
অনির্বাণ=আমার শৈশবের পাঠশালা
                                    ০৯/০৩/২০০৮
              

শুভ নবর্ষ


       “শুভ নববর্ষ”
শুভ নববর্ষ তোমায় সু-স্বাগতম
এসেছি তোমায় বরণ করতে
এসো এসো রঙিন স্বপ্ন নিয়ে এসো ফুলের ও সুবাস নিয়ে
ভরিয়ে দাও চারিদিক কোকিলের সুরে
জানিয়ে দাও তোমার পদার্পণ ।
শুভ নববর্ষ তোমায় সু-স্বাগতম ।
তোমার আশিস ঝরে পড়ুক মোদের শিরে
তোমার পদধুলিতে ভরে উঠুক ধরণী ।
তোমার ছোয়ায় ধুয়ে দাও সব অতীতের গ্লানি ।
তোমারই ভালবাসায় ভরিয়ে দাও সবার মন প্রাণ ।
তোমারই আগমনে ধরণীর বুকে নেমে আসুক শান্তির বাণী ।
   হে নববর্ষ তোমায় সু-স্বাগতম ।




                                  ০১/০১/২০০৮
                                   সময়-রাত ১২টা

চিকাগোর ধর্ম সম্মেলন


          “চিকাগোর ধর্ম সম্মেলন”
      জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর
           ভারতের জাগ্রত পীর ।
মায়ের আদেশে তুমি নিলে তুলে কঠিন ভার
ভারতের ধর্মের বাণী, নিয়ে তুমি দিলে পারি
         চিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ।
পথের মাঝে অনেক ভয়, বুঝি আই প্রয়াস হয় ক্ষয় ।
মনে তবু আছে বল, মায়ের আশীস মাথার পর ।
চিকাগোয় যখন শুনলে তুমি, ধর্ম সম্মেলন আছে দেরি
তাইতো খরচ বাঁচাতে তুমি বোস্টনে তো দিলে পারি ।
মায়ের কৃপায় সেখানে তুমি
পেলে তোমার ধর্ম সম্মেলনের পরিচয়পত্র খানি ।
প্রথম দিনে নিলে কেড়ে সবারই হৃদয় খানি ।
সবার শেষে উঠতে তুমি, দিতে তোমার বক্তৃতাখানি ।
তোমারই মন্ত্রবলে সবাইকে রাখতে ধরে
হাততালিতে করতে মাটি সারাদিনের যন্ত্রণাটি ।
পাশ্চাত্যদের ধরিয়ে দিলে ভূল ।
ভারতবর্ষে ধর্ম প্রচার করা কতটা ভূল ।
তাইতো তারা করল স্বীকার
ভারতবর্ষের কাছেও আছে শেখার ।
                                 ২১/০৩/২০০৮

আমি বন্যা


            “আমি বন্যা”
আমি বন্যা           গঙ্গার অবাধ্য কন্যা
তোমাদের কাছে সর্বনাশী কন্যা      আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           এক উন্মাদিনী কন্যা
তোমাদের কাছে দুঃখদায়িনী কন্যা    আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           এক উল্লাসিত কন্যা
তোমাদের কাছে বাস্তুহরিণী কন্যা     আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           এক বিরহীনি কন্যা
তোমাদের কাছে বাসর ভাঙ্গিণী কন্যা   আমি বন্যা ।
তবুও  আমি বন্যা      গঙ্গারই কন্যা
তোমাদের কাছে কলুষনাশীনি কন্যা    আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           নতুন সপ্নদায়িনী কন্যা
তোমাদের কাছে আদরের কন্যা      আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           ভালবাসার কন্যা
তোমাদের কাছে প্রিয় কন্যা        আমি বন্যা ।
আমি বন্যা           একতাদায়িনী কন্যা
তোমাদের কাছে শক্তিদায়িনী কন্যা   আমি বন্যা ।।



                                      ২৭/০৩/২০০৮

অমর একুশে ফেব্রুয়ারী


        “অমর একুশে ফেব্রুয়ারী”
অমর একুশে ফেব্রুয়ারী
                বাংলাভাষার কান্ডারী ।
নদী যেভাবে ধায়
                সিন্ধুর মাঝে মিলিতে চায় ।
থামেনাতো হেতুএ
                সম্মুখের পর্বতে ।
দুর্দম গতিতে ধেয়ে যায় পলকে
                বাধাকে করি পিছে ।
এরই মাঝে রেখে যায়
                আপন স্মৃতিতে বেঁচে রয়  ।
পথের মাঝে দিয়েছে বিসর্জন
                আপনার দুরন্ত মন  ।
তারপর সন্যাসীর বেশে
                সাগরের মাঝে যায় মিশে ।
 তারপর ছড়িয়ে যায়
                সারা বিশ্বময় ।
এভাবে তুমিও তায়
                ছড়িয়ে গেলে বিশ্বময়  ।
হে  অমর একুশে ফেব্রুয়ারী
                বাংলাভাষার কান্ডারী ।
উনিশশ বাহান্ন সালে
                দিলে পাড়ি আপন মনে ।
ধেয়ে গেলে পর্বত পানে
                ঢাকারই সাভার প্রাঙ্গণে ।
মায়ের ভাষা ছিনিয়ে নিতে
                উর্দূভাষা মুখে ভরে দিতে ।
দেখিয়েছিলো ভয় রাইফেল হাতে
                আর এগোলে হবে ভূমিপাতে ।
মায়ের ছেলে শোনেনি মানা
                তাইত পুলিশ দিয়েছিল হানা ।
রাস্তা হইল রক্তে রাঙ্গা
                মাত্রি ভাষায় ঠাই পেলে বাংলা ।
ছেলেদের স্মৃতি বুকে নিয়ে
                সাতচল্লিশ বছর দিলে পাড়ি ।
সারা বিশ্ব ছড়াইলে তুমি
                মায়ের ভাষার গৌরব খানি ।
অবশেষে উনিশশ নিরানব্বই সালে
                জাতিসঙ্ঘ সবাইকে শোনাল বলে ।
মাত্রি ভাষা জন্মগত অধিকার
                পারবেনা কেউ এটি করতে প্রতিহার ।
এবং তুমি অমর একুশে
                পেলে পদ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ।।


                                              ২৭/০৫/২০০৮
                                            সময়-রাত১২টা৩০মিনিট